দেশের ৪৯% স্কুল শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের শিকার

প্রকাশিত: 4:19 AM, February 10, 2016

দেশের ৪৯% স্কুল শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের শিকার

ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি অনলাইনে শিশুদের নিরাপদে রাখার চ্যালেঞ্জ ও অনলাইনের হুমকি থেকে তাদের সুরক্ষিত রাখার গুরুত্বও বাড়ছে। দেশের ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থী সাইবার বুলিং বা ইন্টারনেটে অশোভন বার্তা পাওয়ার মতো ঘটনার শিকার হচ্ছে। গতকাল নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে টেলিনর প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশের শীর্ষ সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিংহভাগ শেয়ারের মালিক টেলিনর। প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোয় ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১ হাজার ৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারনেট-বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে জরিপ চালানো হয়। এর ভিত্তিতে গতকাল প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনটি।

টেলিনরের হেড অব সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটি ওলা জো বলেন, নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে টেলিনর। বিশেষত শিশু ও তরুণদের মধ্যে এটির গুরুত্ব রয়েছে। টেলিনরের দেশভিত্তিক এ গবেষণা ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রতি ইতিবাচক মা-বাবা ও শিক্ষকদের নিরাপদ ইন্টারনেটের গুরুত্ব বোঝার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এ গবেষণা ডিজিটাল সম্ভাবনা, মা-বাবাদের শিশুদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা এবং এ নিয়ে তাদের পরামর্শ দেয়ার বিষয়ে উত্সাহ জোগাবে।

সাইবার বুলিংসহ ইন্টারনেট-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে টেলিনর এ গবেষণা করে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শিশুদের ইন্টারনেটে সহজে প্রবেশাধিকারের কারণে মা-বাবার কাছে আলোচিত ও শঙ্কার একটি বিষয় হচ্ছে সাইবার বুলিং। বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর একই ব্যক্তি দ্বারা উত্পীড়নের শিকার হওয়া অথবা অনলাইনে উত্ত্যক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করে অনলাইনে অন্যকে উত্ত্যক্ত করেছে ওই ব্যক্তি। বাংলাদেশের ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে, তারা অনলাইনে অশোভন কোনো বার্তা পাঠাবে না।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অভিভাবকদের এ নিয়ে শিশুদের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা, আলোচনা করা ও অনলাইনে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে যেন শিশুরা তাদের মা-বাবাদের কাছে সাহায্য চাইতে পারে, এ পরিবেশ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করে তুলতে টেলিনর গ্রুপ একটি নিরাপদ ইন্টারনেট নির্দেশিকা প্রকাশ ও বিতরণ করেছে। অভিভাবকরা এ নির্দেশিকার মাধ্যমে ইন্টারনেট নিয়ে কীভাবে তাদের শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, সে বিষয়ে নানা তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে গতকাল নিরাপদ ইন্টারনেট-সচেতনতা নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এইচইউআরডিসিও ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে একটি সেশন আয়োজন করে গ্রামীণফোন।

[the_ad id=”312″]

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 122 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ