খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা : ৩রা মার্চ আদালতে হাজিরার নির্দেশ

প্রকাশিত: 5:40 PM, January 25, 2016

নিউজ ডেস্কঃ  মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে সমন জারি করেছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে এ নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী মেহেদী এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার জন্য সম্প্রতি সরকারের উচ্চপর্যায়ের কাছে সহায়তা চান। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়। এই ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ওই আইনজীবী। ২১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় তাকে মামলা করার অনুমতি দেয়।
গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে বেগম খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
তবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য এ সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। রাষ্ট্রদ্রোহ হয় যদি কেউ সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে। যদি কেউ সরকারের প্রতি জনগণকে উসকে দেওয়ার জন্য বক্তৃতা দেয়, তাহলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এখানে বেগম খালেদা জিয়া কোনো রাষ্ট্রদ্রোহ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 100 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ