সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 5:22 PM, February 3, 2016
নীলাভ নীল :
সূর্য উঠি উঠি করে জানান দেয়, ঝলমলে একটি দিন শুরু হচ্ছে। এ সময়টাতে অদ্ভুত শান্তিময় ও প্রাণবন্ত প্রকৃতি তার পূর্ণ জীবনীশক্তি নিয়ে প্রস্তুত হয় আমাদের সুন্দর ও সফল একটি দিন উপহার দেওয়ার জন্য। খুব সকালে প্রকৃতির সাথে যদি আপনিও কাজ শুরু করতে পারেন, তবে গোটা দিনের কাজের সফলতায় আরো ঝলমল করবে আপনার মন। জীবনে সাফল্যের চূড়ার যারা পৌঁছেছেন, তাদের এ সফলতার পেছনের একটি রহস্য হলো সকালের শুরুতেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেলা। ‘ইনক. ম্যাগাজিন’ এর বরাত দিয়ে ফোর্বস জানাচ্ছে, অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি নিয়ে সফল জীবন কাটাচ্ছেন এমন বহু মহারথীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তারা সকলেই অন্তত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সকাল ৮টার আগেই শেষ করেছেন।
একেবারে সহজ উদাহরণ হিসেবে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের কথাই ধরুন। এরা সকলেই পাখির সাথে ঘুম থেকে ওঠেন। এই গবেষণায় মার্গারেট থ্যাচার বা ডিজনির সিইও বরার্ট ইগারের কথাও উঠে এসেছে।
আপনাদের সকলের এমনই একটি সফল জীবনের কামনা করে পাঁচটি কাজের খবর জানানো হলো। এ কাজগুলো সকাল ৮টার আগেই করে ফেলুন।
১. ব্যায়াম : অধিকাংশ সফল ব্যক্তিরা সকালের কাজ শুরুর আগে ব্যায়াম করার কাজটাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। ব্যায়াম শুধু পেশির জন্যে নয়। ইয়োগার মতো হালকা ব্যায়াম বা ভারী ব্যায়ামের পর কাজ শুরুর জীবনীশক্তি পুরোদমে তৈরি হয়ে যাবে। তাও সম্ভব না হলে, ১৫-২০ মিনিট হেঁটে আসুন। এ কাজে আপনার শরীর-মন দুই জাগ্রত হয়ে যাবে দিনের শুরুতে।
২. কাজের পরিকল্পনা : গোটা দিনের কাজ থেকে সর্বোচ্চ ফলাফলটুকু বের করে আনতে চাইলে পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। প্রথমত, গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ ঠিক করে নিন। সকালের চুপচাপ শান্তিময় মুহূর্তে আপনি সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে নিতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক কাজের পর ১০-১৫ মিনিট রাখুন বিশ্রামের জন্য। কাজের চাপের পর এ সময়টুকু আপনার মনে স্থিরতা আনবে। কাজ শেষ করেই চট করে একটু ঘুরে আসুন বা নির্জনে চোখ বন্ধ করে পাথরের মতো পড়ে থাকুন। বড় ধকলের পরও এ সময় আপনাকে আবার চাঙ্গা করে দিবে। আর ফাঁকে ফাঁকে এনার্জি দেয় এমন কিছু খেতে পারেন।
৩. পুষ্টিকর সকালের নাস্তা : কাজে বেরুনোর আগে দেহযন্ত্রটিকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি দিন। কারণ কাজের সময় হয়তো খাওয়ার সময় পেলেন না। ক্ষুধাকে দূর করতে এক কাপ কফি খেলেন। সমস্যা হবে না যদি সকালেই আপনার শরীর একটা জম্পেস নাস্তায় তুষ্ট থাকে। তা ছাড়া এই কাজ শুধু দেহের জন্যই নয়, পরিবারের সাথে বসে নাস্তা করলে মনটাও ভাল থাকে।
৪. ধ্যান : আমরা দৈহিক শক্তি বা সুস্থতা নিয়েই বেশি সচেতন থাকি। কিন্তু মন ভাল না থাকলে শরীরও সুস্থ থাকে না। আর মনে খাবার হলো ধ্যান। একেবারে মুনি-ঋষির ধ্যানের কথা বলা হচ্ছে না। খুব সকালে নিশ্চুপ প্রকৃতির সাথে কিছু সময়ের জন্যে একাত্ম হয়ে যান। এমনকি এক মিনিটের ধ্যানও নাকি মনে সারা দিনের খোরাক দিতে পারে।
৫. কঠিন কাজ আগে : সফলদের কাছ থেকে এটা একটা টিপস্। যদি সমস্যা না হয়, তাহলে সবচেয়ে কঠিন আর জটিল কাজটি দিয়েই দিন শুরু করুন। কারণটি খুব সোজা, সকালের শুরুতে আপনার চিন্তা-চেতনা, প্রাণশক্তি সবকিছুই পূর্ণমাত্রায় থাকে। ফলে কঠিন কাজ সহজ মনে হবে। তা ছাড়া পরের কাজগুলো আরো বেশি সহজতর হতে থাকবে।
কাজেই, ওপরের টিপসগুলো শেষ করার পরই সফলতা ধরা দিবে আপনার কাছে। হালকা মন-মেজাজ নিয়ে সারা দিনের কাজগুলো করতে থাকুন আর অনুভব করুন, সব কাজের পরিপূর্ণ সফলতায় তৃপ্ত আপনার মন।
[the_ad id=”312″]
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com