পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারনে সুনামগঞ্জ শহর অকাল বন্যা কবলিত, শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ ঘোষনা। ।

প্রকাশিত: 11:46 AM, July 12, 2019

20190712_114318অনলাইন ডেস্ক:- পাহাড়ি ঢলে ও টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিকার দুপুর ১২টায় ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৭ সে.মি, উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় ১৩৪ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জ সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই উপজেলা সড়কে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া জেলার ২১৮টি বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। যার মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ২২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ১৮, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ২৭টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ৩ টি, ছাতক উপজেলার ১০ টি, জামালগঞ্জ উপজেলার ৩০ টি, তাহিরপুর উপজেলার ১৯ ও ধর্মপাশা উপজেলার ৫৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিল্লুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে একই কারণে জেলার মাধ্যমকি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ মোট ৫০ টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯টি, বিশ্বমম্ভরপুর উপজেলায় ১৭টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪টি, ধর্মপাশা উপজেলায় ২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০টি এবং তাহিরপুর উপজেলায় ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয়েছে।

তাছাড়া সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় লক্ষাধিকের উপরে মানুষ। এসব এলাকায় খাবার পানিও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুর্গত মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর ছিদ্দিক ভূইয়া বলেন, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিপাত আরো তিন দিন থাকবে, ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তাছাড়া বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় তিন লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ হাজার ৮০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুত আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 98 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ