সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 2:54 AM, June 1, 2016
অনলাইন ডেস্ক:সুন্দরবনের বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার (৪৫) ও তার ৯ জন সহযোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আশার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেছে।
আজ(মঙ্গলবার) বিকেল সোয়া ৩টায় মংলার বিএফডিসি জেটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকাতদল ৫২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ হাজার রাউন্ডের বেশি গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। দস্যুদের জমা দেয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ১৮টি একনলা বন্দুক, ৮টি দো-নলা বন্দুক, ৬টি .২২ বোরের পিস্তল, ১টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, ৩টি ওয়ান শুটারগান, ৫টি রাইফেল, ২টি সিঙ্গেল রাইফেল, ৫টি শটগান, ২টি এয়ার গান, ২টি শাটারগান।
এ সময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গোয়েন্দ) কর্নেল আনোয়ার হোসেন, খুলনা রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, বনডাকাতরা সমাজের ক্ষতিকর মানুষ হিসাবে না থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার যে উদ্যোগ নিয়েছে সে কাজের জন্য আমরা তাদের সব ধরনের আইনি সহযোগিতা দিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুন্দরবনকে নিরাপদ স্থান হিসাবে দেখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সুন্দরবনকে একটি পর্যটন জোন হিসাবে গড়ে তুলতে নানা পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা আত্মসমর্পণ করেনি তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে আমরা সব ধরনের সহায়তা করবো।’ এ জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে ডাকাতরা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়। সেই লক্ষ্যে রোববার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হাড়বাড়িয়ার চরাপুটিয়া এলাকায় র্যাবের কাছে এ মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ৭ ডাকাত দেশি-বিদেশি ৫১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার গুলি জমা দেন।
কিন্তু ওইদিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
র্যাবের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের পশ্চিম উপকূল এবং সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালদের ত্রাস ছিল ‘মাস্টার বাহিনী’। নৌকা ও জালের হিসাব করে নির্ধারিত হারে ডাকাতদের চাঁদা দিতে হতো জেলে ও বনজীবীদের। এতদিন অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল এ বাহিনীর সদস্যরা। #
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com