আবাহনীর ঘরে ক্লাব কাপ হকির ট্রফি

প্রকাশিত: 1:09 AM, May 10, 2016

আবাহনীর ঘরে ক্লাব কাপ হকির ট্রফি

অবশেষে ক্লাব কাপ হকির ট্রফি ফিরে পেয়েছে আবাহনী। টানা চার বার ফাইনাল খেলল আবাহনী। মোহামেডান একবার এবং গত দুই বার ট্রফি নিয়ে গেল ঊষা। আবাহনীর সাথে লড়াই করেই ঊষা ট্রফি নিয়ে গেলেও এবার আর পারেনি। আবাহনী ৫-১ গোলে ঊষাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

আবাহনী গতকাল সোমবার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ঊষার স্বপ্নভঙ্গ করে। হ্যাটট্রিক শিরোপা পাবে বলে অনেক পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল ঊষা। ১৯৯৮ এবং ২০০০ সালে পর পর দুই বার ট্রফি জয়ের সুবাদে হ্যাটট্রিকের প্রথম সুযোগ এসেছিল ঊষার সামনে। কিন্তু সেবার মোহামেডান মন ভেঙে দিয়েছিল। প্রায় ১৫ বছর পর আবার ক্লাব কাপ হকি টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ এসেছিল কাল ঊষার সামনে। পুরান ঢাকার দলের টানে সেখানকার অনেক নারী দর্শকও এসেছিলেন মাঠে। ফাইনাল শেষে উত্সবে মেতে উঠা হলো না তাদের। আবাহনী ২০০৮ সালের পর আবার ট্রফি ফেরত পেয়েছে। একটা দুইটা নয় পাঁচটা গোল করেছে আবাহনী। বিপরীতে ঊষার গোল মাত্র একটা।

ফাইনালের আগে আবাহনী যেমন বড় ব্যবধানে জিতবে ভাবেনি, ঊষাও কল্পনা করেনি এমন হার। মালয়েশিয়ান খেলোয়াড়দের নিয়ে শক্তি বাড়িয়ে দলটাকে ফাইনালে নিয়ে এলো ঊষা। স্টিকের লড়াইয়ে আবাহনীর পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা মালয়েশিয়ান খেলোয়াড়দের টেক্কা দিয়ে ট্রফি নিয়ে গেছে ধানমন্ডিতে।

আবাহনীর কোচ মাহবুব হারুন ম্যাচ শেষে যা বললেন তাতে পাকিস্তানী খেলোয়াড়দের কৃতিত্বের পাল্লাটা খুব বেশি ভারি হয় না। হারুন বললেন, ‘পাকিস্তানী খেলোয়াড়রা তাদের ৬০ ভাগ পারফরম্যান্স দিয়েছেন। তাদের আরো বেশি দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।’ ঊষার কোচ মামুনুর রশিদ জানান, তারা যে পরিকল্পনা করে দল মাঠে নামিয়েছিলেন তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

আবাহনী ঊষার ফাইনালটা হাইভোল্টেজ হওয়ার কথা। ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দল সমান তালে খেললেও প্রথমার্ধে আবাহনী ২-১ গোলে এগিয়ে গেল। অথচ সপ্তম মিনিটে গোল করে ঊষাই এগিয়ে ছিল। ঊষার মালয়েশিয়ান ইসমাইল বিন আবু আবাহনীর ডিফেন্ডার খোরশেদকে কাটিয়ে শূন্যে ভাসিয়ে দেন। ভাসানো বলটাই স্টিকে ছুইয়ে পোস্টে পাঠান আরেক মালয়েশিয়ান ফাইজাল বিন শারি ১-০। এরপর আর গোল পায়নি গত দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ঊষা। বরং পাঁচ গোল হজম করেছে। ১৬ মিনিটে আবাহনীর পাকিস্তানী তৌসিফ আরশাদ পেনাল্টি থেকে সমতা আনেন ১-১। ব্যবধানটা বাড়িয়ে দেন ইরফান ২-১। দ্বিতীয়ার্ধে ঊষা জেগে উঠবে কি উল্টো ঝিমিয়ে পড়ল। তৌসিফ আরশাদ নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন ৩-১। বিরতির পর সাইড লাইন থেকে উষার সাবেক তারকা খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম কামাল চিত্কার করেও খেলোয়াড়দের ভুলগুলো কমাতে পারেননি। আরো দুই গোল হজম করলো ঊষা। পাকিস্তানী দুই খেলোয়াড় শাকিল আব্বাস এবং শাফকাত রাসুল গোল করলেন ৫-১।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 88 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ