সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 5:24 AM, March 26, 2016
নিউজ ডেস্ক :
তিনদিন ধরে সুন্দরবনের জলস্থলের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণ-প্রকৃতির বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছেন জাতিসংঘের ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞ দল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে তাদের এ পর্যবেক্ষণ।
তিন সদস্যের ইউনেস্কোর রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশনের বিশেষজ্ঞ দলটি সুন্দরবন বিভাগের আধুনিক জলযান বনবিলাসে করে শ্যালা নদীসহ অয়েল ট্যাংঙ্কার লাইটারেজ জাহাজডুবির বিভিন্ন র্দূঘটনাস্থল ও ৩টি ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট কটকা-কচিখালী, নীলকমল ও পশ্চিম অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেন।
তারা পর্যবেক্ষণ করেন মানবসৃষ্ট দূষণে সুন্দরবনের পরিবেশ বিপর্যয়ের চিত্র।
প্রতিনিধিদলটি বুধবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনে অবস্থান করেন।
সর্বশেষ শুক্রবার রাত পোনে ৮টায় ইউনেস্কোর রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশনের বিশেষজ্ঞ দলটি মংলায় হোটেল পশুরে সুন্দরবনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদি সংগঠনগুলোর নেতাদের বক্তব্য শুনছিলেন। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইউনেস্কোর পর্য়বেক্ষণ বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন ফ্রান্স, ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারাবিয়ান ইউনিটের প্রকল্প কর্মকর্তা ফ্যানি এডোলফিন এম ডোভের, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রকৃতি সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ নওমি ক্লার ও ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মিজুকি মুরাই। বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি, বন ও পরিবেশ, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন।
গত বছরের মার্চে ইউনেস্কোর বার্ষিক সাধারণ সভায় সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ নির্মাণ বন্ধের দাবি জানানোর পাশাপাশি সুন্দরবনের ভেতর নৌপথ ও শ্যালা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয় ও বাংলাদেশ সরকারকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
ওই চিঠির বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারের দেওয়া ব্যখ্যায় ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশন সন্তুষ্ট হতে না পেরে বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে সুন্দরবন সফরের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের ইউনেস্কোর তিন সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দলটি ৩দিন ধরে সুন্দরবন সফর করেন।
১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৩টি অভয়ারণ্যকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন ৫২২তম ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) সাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দিনভর ইউনেস্কোর রিঅ্যাকটিভ মনিটরিং মিশনের বিশেষজ্ঞ দলটি ৩টি ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট, কটকা-কচিখালী, নীলকমল ও পশ্চিম অভয়ারণ্য পরিদর্শন করেন। এর আগে শ্যালা নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে অয়েল ট্যাংকার ও লাইটারেজ জাহাজ ডুবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বুধবার সুন্দরবনের করমজলসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও সুন্দরবনের অদূরে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সেখানকার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। ডিএফও আরও জানান, এই মিশন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কনভেনশন বাস্তবায়ন বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী কাজ করে। বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে পরামর্শ ও সুপারিশ দিয়ে থাকে এই মিশন।
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com