‘২০১৫ সালে হামলায় ২৪ সংখ্যালঘু নিহত, ধর্ষণের শিকার ২৫ নারী’

প্রকাশিত: 11:00 AM, March 5, 2016

‘২০১৫ সালে হামলায় ২৪ সংখ্যালঘু নিহত, ধর্ষণের শিকার ২৫ নারী’

go8প্রান্তডেস্ক:গত বছর সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কমপক্ষে ২৬২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৫৬২টি পরিবার। এরমধ্যে হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন, আহত হয়েছেন ২৩৯ জন। এছাড়াও ২৪জন নারী অপহরণ, ২৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ১০জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই তথ্য জানিয়েছে। ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৫’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর কমপক্ষে ২৬২টি হামলা হয়েছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১৫৬২টি পরিবার। এরমধ্যে হামলায় নিহত হয়েছেন ২৪ জন, আহত হয়েছেন ২৩৯ জন। ওই সময় সংখ্যালঘু নারীর প্রতি নিপীড়নও কম হয়নি। ২৪ জন নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫ নারী। এর মধ্যে ১০ জনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০৯টি প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালানো হয়েছে এবং ৬০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্ত বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়ে প্রভাবশালীরা ক্রমাগতভাবে এসব করছে।’ এসবের বিচার না হলে একসময় সংখ্যালঘুরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এমন অত্যাচারের যদি বিচার না হয়, যদি একের পর এক হিন্দুদের ভিটেমাটি দখল করে ঘরছাড়া করা হয়, তা হলে একসময় দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে’। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও সামাজিক অনুশাসনে বহুত্ববাদের স্বীকৃতি ও চর্চার বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত হয়েছে। এর ফলে এ দেশের সংখ্যালঘুরা নিজ দেশে বসবাস করা সত্ত্বেও রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন।’’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 43 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ