সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 2:54 PM, March 6, 2016
নিউজ ডেস্ক : হাসনাইন আনোয়ার ওয়ারেকারের ফেসবুক একাউন্টে হৃদয় হরণকারী সব বার্তা। একাধিক নারী পাঠিয়েছেন সেগুলো। কারা এসব নারী তা যাচাই করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভারতের থানে’তে নিজের পরিবারের ১৪ সদস্যকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে হাসনাইন আনোয়ার ওয়ারেকার। তা নিয়ে তদন্তে মাঠে নেমে পুলিশ এসব তথ্য পেয়েছে। তাতে দেখা গেছে, তিনি আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ধার করেছিলেন। ৬৭ লাখ রুপি ঋণে ডুবে ছিলেন তিনি। শেয়ার ব্যবসা করতেন। তাতে মারাত্মক লোকসানের শিকার হন তিনি। এসব কারণে প্রচন্ড হতাশায় ছিলেন হাসনাইন। এ ছাড়া বেশ কিছু নারীর সঙ্গে তার ছিল সম্পর্ক। তার ফেসবুক একাউন্টে পাওয়া গেছে তাদের রগরগে সব মেসেজ। মাজিওয়াদা এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবারের কেউ এ বিষয়টি জানতেন না। মানসিক রোগে ব্যবহার হয় এমন কিছু ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে তার বাসভবন থেকে। যে চিকিৎসক তাকে এ ওষুধ খেতে বলেছেন তাকে ও যে দোকান থেকে তিনি এসব ওষুধ কিনেছেন তা সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের মতে, নানা মানসিক অস্থিরতায় হাসনাইন তা পরিবারের সবাইকে হত্যা করে থাকতে পারেন। হাসলাইন আনোয়ারের বয়স ৩৫ বছর। তিনি পেশায় একজন আয়কর উপদেষ্টা। ২৮শে ফেব্রুয়ারি তিনি যাদেরকে হত্যা করেন তারা হলেন তার পিতা আনোয়ার ওয়ারেকার (৬৫), মা আসগারি (৫৬), স্ত্রী জাবিন (২৮), দু’ মেয়ে মুবাতশিরা (৬), উমেরা (৩ মাস), বোন সাবিনা শওকত খান (৩৫), মারিয়া ইরফান ফাক্কি (২৮), বাতুল (৩০), ভাতিজি আনাস শওকত খান (১২), সাদিয়া শওকত খান (১৬), আরসিয়া ইউসুফ ভারমাল (৫ মাস), ভাইপো আলী হাসান শওকত খান (৫), উমের ইরগান ফাক্কি (৭) ও ইউসুফ ইরফান খান।
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com