সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 6:00 AM, January 25, 2016
প্রান্ত ডেস্ক:ভারতের ওড়িশা রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে। সেখানে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারীরা ভুবনেশ্বরে প্রবেশ করেছে তা কড়াভাবে যাচাই করছে স্থানীয় পুলিশ কমিশনার। এ অভিযানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে স্পেশাল স্কোয়াড জয়পুরহাট থেকে দু’ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ছয় মাস আগে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করা সাত বাংলাদেশিকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোতে তারপর থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে এ জেলাগুলো অবৈধ অভিবাসীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
এমন কথা বলেছেন ডিসিপি সত্যব্রত ভোই। তবে সাত বাংলাদেশিকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে আটক দু’ ভারতীয় তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, ওই সাত ব্যক্তি যে বিদেশি নাগরিক তা তাদের জানা ছিল না।
তবে তাদের এ দাবিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, রাজ্যে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত কিছু ব্যক্তি প্রবেশ করে থাকার সম্ভাবনা আছে। তারা এমন সব ‘পকেটে’ আত্মগোপন করে থাকতে পারে।
তাই সীমান্ত জেলাগুলোতে বাড়ি ভাড়া দেয়ার আগে ভাড়াটিয়াদের পরিচয় নিশ্চিত হতে বলা হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, আটক ওই দুই ব্যক্তির একজন মো. বশির। অন্যজন তার সহযোগী। তার নাম প্রকাশ করা হয় নি। তাদেরকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে, তারা ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে দু’জন ব্রোকার ব্যবহার করেছে। তারপর পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছে।
তার কথা অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রথম ব্রোকার বা দালালকে দিতে হয়েছে ৩ হাজার টুকা। তারাই তাদেরকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দিয়ে ভারতে প্রবেশের সুবিধা দিয়েছে।
তারপর তারা হয়পুর জেলার বিনঝরপুরে থিতু হয়। শুরু করে কম্বল ও তৈরি পোশাকের ব্যবসা। আস্তে আস্তে তারা জয়পুরে দ্বিতীয় ব্রোকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই ব্রোকার তাদেরকে ভুয়া ভোটার কার্ড তৈরিতে সহায়তা করে। যোগার করে দেয় স্কুলের সনদ।
এ জন্য এই দালালকে দিতে হয়েছে ২ হাজার রুপি। এ প্রক্রিয়ায় প্রায় অর্ধ ডজন দালাল জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারেট বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করছে, যা শিগগিরই বাংলাদেশ হাই কমিশনে জমা দেয়া হবে।
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com