অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭তম। বিশ্বের ১৭৮টি দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বছরের সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হেরিটেজ ফাউন্ডেশন।
এবারের সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা স্কোর গত বছরের তুলনায় ০.৬ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ৫৩.৩। আর দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পরিস্থিতি ‘প্রধানত মুক্ত নয়’ (মোস্টলি আনফ্রি)। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ২৯ তম। সরকারি অর্থায়ন ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য সফলতা থাকলেও আইনের শাসন আর মুক্ত বাজার নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ।
বাংলাদেশ নিয়ে দেশভিত্তিক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ দারুন ম্যাক্রোইকোনোমিক্স স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে। আর দেশটির অর্থনীতি গত ৫ বছরে স্থীতিশীল ভাবে অগ্রগতি হয়েছে। তবে, অনিশ্চিত নিয়ন্ত্রক পরিবেশ, অনুন্নত অবকাঠামো এবং বেসরকারী খাতের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর প্রাতিষ্ঠঅনিক সহায়তার অনুপস্থিতির কারণে উদ্যোক্ততাদের সার্বিক কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। দুর্বল আইনের শাসনের ফলে অব্যাহতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়। দুর্নীতি আর সম্পদ অধিকারের প্রান্তিক প্রয়োগ মানুষ আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আনুষ্ঠানিক খাত থেকে ছিটকে ফেরেছে। আর মৌলিক পন্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রের সরকারের ব্যর্থতা ব্যবসা উন্নয়ন আর চাকুরিতে অগ্রগতিতে আরও সীমাবদ্ধ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নীচে শুধু রয়েছে নেপাল (১৫১তম)। সার্কভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৯৩, ভুটান ৯৭, ভারত ১২৩. পাকিস্তান ১২৬ ও মালদ্বিপ রয়েছে ১৩২তম অবস্থানে। সূচকের শীর্ষ পাচ দেশ হলো হংকং, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
[the_ad id=”249″]
এই সংবাদটি 74 বার পঠিত হয়েছে