সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 6:31 AM, January 19, 2016
প্রান্ত ডেস্ক:দেশে জ্বালানি গ্যাসের মজুত কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে খোদ রাজধানীতেও। তীব্র গ্যাস সঙ্কটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন মহানগরীর বাসিন্দারা।
দেশে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্যাসের মজুতের অর্ধেকের বেশি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাসের মজুত নিরূপণ করা হয়েছে ২৭.১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ১৩.৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসই ব্যবহার হয়ে গেছে। অবশিষ্ট আছে মাত্র ১৩.৪৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া গত কয়েক বছরে দেশে নতুন কোন গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মেলেনি বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। যদিও মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির পর সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তা কাজে লাগানো যায়নি। তাই গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পুরনো ক্ষেত্র থেকেই উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
আবিষ্কৃত গ্যাসের মজুত, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনেই দেশে গ্যাস মজুতের এ চিত্র উঠে আসে।
এখন পর্যন্ত যে গ্যাসক্ষেত্রগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে, তার মধ্যে ২৪টিই স্থলভাগে। বাকি দুটি সমুদ্র তীরে। বর্তমানে উৎপাদনে আছে ২০টি গ্যাসক্ষেত্র, যার সবই স্থলভাগে।
তিতাস দেশের সবচেয়ে পুরনো ও সর্ববৃহৎ গ্যাসক্ষেত্র । ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত ক্ষেত্রটিতে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত নিরূপণ করা হয়েছিল ৬৩৬৭ বিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে প্রায় ৪০৪৬ বিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট মজুত রয়েছে ২৩২০ বিলিয়ন ঘনফুট।
তিতাসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্যাসের মজুত ছিল বিবিয়ানায় ৫৭৫৪ বিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে অবশিষ্ট আছে ৩৩৮০ বিলিয়ন ঘনফুট।
মজুতের দিক দিয়ে এরপরই রয়েছে কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র। ক্ষেত্রটিতে মজুত রয়েছে ২০৮৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এছাড়া রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রে গ্যাস মজুত রয়েছে ১৮৭০ বিলিয়ন ঘনফুট। আর হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও ছাতকে ৪০০ বিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে। ৩০০ বিলিয়ন ঘনফুটের বেশি মজুত রয়েছে শাহবাজপুর ও সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্রে। বাকি ক্ষেত্রগুলোয় অল্প পরিমাণে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুত রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির তিন বছর পার হলেও এখনো পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিরও এক বছর পার হয়েছে। স্থলভাগেও নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানে উল্লেখ করার মতো কোনো সাফল্য নেই। কয়েক বছর ধরে পুরনো ক্ষেত্রের পুনর্মূল্যায়নের মধ্যেই আটকে আছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম। উৎপাদন বাড়াতে তাই জোর দেয়া হচ্ছে পুরনো গ্যাসক্ষেত্রে।
তথ্য পর্যালোচনায় জানা যায়, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে গ্যাসের গড় উৎপাদন ছিল দৈনিক ১৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে তা ২৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। এ হিসেবে পাঁচ বছরে গ্যাস উৎপাদন দৈনিক প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কূপ থেকে সক্ষমতার অতিরিক্ত গ্যাস উত্তোলন করা হলে ভূ-অভ্যন্তরে গ্যাসস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। গ্যাস উত্তোলনের স্বাভাবিক প্রবাহ এতে নষ্ট হয়। ফলে কমে যায় গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন মেয়াদ। নির্ধারিত সময়ের আগেই ক্ষেত্রটি পরিত্যক্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। বাড়তি উৎপাদনের কারণে গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত হওয়ার উদাহরণ সমুদ্রবক্ষের একমাত্র উৎপাদনকারী ক্ষেত্র সাঙ্গু।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেন, গ্যাস খাতে নেয়া সব পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়েছে। গত কয়েক বছরে নতুন কোনো ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়নি। বাপেক্স কিছু চেষ্টা চালালেও তা সফল হয়নি। ফলে পুরনো ক্ষেত্র থেকে গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর উপরই জোর দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে, তাতে ১৪ বছরের মজুত আছে। তবে চার-পাঁচ বছর পর চাপ কমতে শুরু করবে। ফলে দৈনিক গ্যাস উৎপাদনও কমবে। তখন পুরনো ক্ষেত্র দিয়ে আর স্বাভাবিক সরবরাহ ধরে রাখা যাবে না। সমুদ্র ও স্থলভাগে দ্রুত নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে তাই এখনই জোর দিতে হবে।
বাপেক্সকে শক্তিশালী করতে একাধিক রিগ কেনা হয়েছে। যন্ত্রাংশের দিক দিয়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বাড়লেও কার্যক্রমে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বর্ধিত গ্যাসের বেশির ভাগই পুরনো ক্ষেত্র থেকে এসেছে বলে জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানা গছে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুজ্জামান বলেন, আগামী পাঁচ বছরে নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই গ্যাস অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিতে বাপেক্সের লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বাপেক্স শক্তিশালী হলে আরো বেশি অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে পারবে।
একইসঙ্গে উৎপাদন কার্যক্রম মনিটরিং, মিয়ানমার-সংলগ্ন সমুদ্রতীরের ব্লকসহ সীমান্তবর্তী অনশোর ব্লকগুলোয় দ্রুততার সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রমের ওপর জোর দিতে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ২৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে দৈনিক ২৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এ হিসাবে গ্যাসের ঘাটতি থাকছে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
এদিকে গ্যাস সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে খোদ রাজধানীতেই। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পাইপলাইনে গ্যাস থাকছে না। ফলে দিনে বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলছে না। পানি পর্যন্ত গরম করা যাচ্ছে না। গভীর রাত জেগে গৃহিণীদের রান্না করতে হচ্ছে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই । যারা রাত জেগে রান্না করতে পারছেন না, বাধ্য হয়েই তারা হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন। আবার হোটেলেও বাসি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এতে অনেকেই পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। লেখাপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের বাসি খাবার খেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। গ্যাস সমস্যায় কেউ কেউ কেরোসিনের চুলাও কিনছেন। এ চিত্র রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার। শুধু বাসাবাড়িতেই সমস্যা হচ্ছে না, সিএনজি স্টেশনগুলোতেও গ্যাসের চাপ কমে গেছে। এতে একবার গ্যাস নিতে তিন-চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে সিএনজিচালিত গাড়িগুলোর। এ কারণে পাম্পগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ছে ।
মহানগরীর বাসিন্দাদের এ দুর্ভোগ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। প্রতি বছরই শীতের শুরুতে এ সঙ্কট শুরু হয়, স্থায়ী হয় পুরো শীত মওসুমজুড়ে। এ দুর্ভোগের কারণ নিয়ে বরাবরই গ্যাস খাতের সংস্থাগুলো পরস্পরকে দোষারোপ করতে দেখা যায়। যেমন গ্যাস বিতরণের সঙ্গে জড়িত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তিতাস থেকে বলা হয় চাহিদা অনুযায়ী তাদের গ্যাস সরবরাহ করছে না পেট্রোবাংলা। আবার পেট্রোবাংলা থেকে বলা হয়, তিতাসের পাইপলাইনগুলো অনেক পুরনো এবং ব্যাসে কম থাকায় শীতকালে বর্ধিত চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যায় না। তবে, এবার তিতাস থেকে বলা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় আরেক প্রতিষ্ঠান গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) নিয়ন্ত্রণাধীন পাইপলাইনে ময়লা আসায় চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পাইপলাইন সংস্কারের দায়িত্ব জিটিসিএলের। তারা সংস্কারকাজ চালাচ্ছে। শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সাধারণ গ্রাহক পাইপলাইনে ময়লা, পাইপলাইন সরু বা পুরনো এত কিছু বোঝে না। তারা শীত এলে গ্যাস পাচ্ছে নাÑ এটাই বাস্তবতা। শীতকালে গ্যাসের দুর্ভোগ যেন তাদের কপালে স্থায়ী রূপ নিয়েছে। অথচ পাইপলাইন সংস্কারে ফি বছরই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুফল পাচ্ছেন না রাজধানীবাসী।
গ্যাসের এ সঙ্কট রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকাতেই রয়েছে। এমনকি রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র সংসদ ভবন এলাকার আশপাশে মনিপুরীপাড়া, ফার্মগেট, গ্রিন রোড, মোস্তফা রোড, মতিঝিল, মালিবাগ, রামপুরা, খিলগাঁও এলাকায়ও গ্যাসের তীব্র সঙ্কট শুরু হয়েছে।
শুধু রান্নার কাজেই রাজধানীবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন না, এসব এলাকার সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস নেয়ার জন্য গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যাচ্ছে। পাইপলাইনে গ্যাসের চাপ কম থাকায় কোনো কোনো সিএনজি স্টেশনে একবার গ্যাস নিতে তিন-চার ঘণ্টা লেগে যায়। এতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে পরিবহন ভাড়া।
এ বিষয়ে বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এইচ এম আলী আশরাফ বলেন, বাখরাবাদ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনে ময়লা আসায় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছিল না। অন্য লাইন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে গিয়ে রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ কমে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা অনেকটা কেটে গেছে। এখন রাজধানীতে চাহিদার চেয়ে ৫ থেকে ৮ শতাংশ কম গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে জিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজাম শরীফ বলেন, জাতীয় গ্রিডের পাইপলাইনে ময়লার কারণে রাজধানীতে গ্যাস সঙ্কট হচ্ছে এ কথাটি ঠিক নয়। এক লাইনে সমস্যা হলে অন্য লাইনে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া যে লাইনের ময়লার কথা বলা হচ্ছে তা ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জিটিসিএলের দোষারোপ করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, রাজধানীতে গ্যাস সঙ্কটের প্রকৃত কারণ হলো, রাজধানীতে গ্যাসের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। অপরিকল্পিতভাবে অনেক বহুতল ভবন হচ্ছে। আগে যে এলাকায় যে ব্যাসের পাইপ লাইন দিয়ে রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ করা হতো, এখন বহুতল ভবন হওয়ায় চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে ওই ব্যাসের পাইপলাইন দিয়ে বর্ধিতহারে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ সমস্যা যেসব এলাকায় রয়েছে ওই সব এলাকায় শীতে গ্যাস সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে তিতাসের এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, তারা জিটিসিএলের কাজে সন্তুষ্ট নন। কারণ, এখনো ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইনে ময়লা আসছে।
তবে পেট্রোবাংলার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, কাগজে-কলমে গ্যাস সঙ্কট থাকলেও প্রকৃত পক্ষে তারা চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস উৎপাদন করছেন। পেট্রোবাংলার পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ১৭ জানুয়ারি পেট্রোবাংলার গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতা ছিল ২৭৪ কোটি ঘনফুট। ওই দিন তারা উৎপাদন করেছে ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ ঘনফুট। এর মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ১৫১ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৩ কোটি ৬৭ লাখ ঘনফুট। সারকারখানাগুলোয় ৩১ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুটের বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ২৩ কোটি ৫৩ লাখ ঘনফুট। আবাসিক এবং শিল্পকারখানায় সরবরাহ করা হয়েছে বাকি ১৪৮ কোটি ঘনফুট গ্যাস।
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com