বাংলাদেশি চ্যানেল চালাতে আগ্রহী কলকাতার এমএসওরা

প্রকাশিত: 6:21 AM, January 6, 2016

বাংলাদেশি চ্যানেল চালাতে আগ্রহী কলকাতার এমএসওরা

police1450376982প্রান্ত ডেস্ক:ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের বেসরকারি চ্যানেল চালাতে আগ্রহী সেখানকার চ্যানেল বিপণনকারী সংস্থাগুলো। কলকাতাসহ রাজ্যের বাঙালি দর্শকদের মধ্যে বাংলাদেশি চ্যানেল প্রদর্শনের জন্য নিয়মিত দর্শকদের কাছ থেকে চাপ সহ্য করতে হচ্ছে বিপণনকারীদের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল আইনগতভাবে ভারতে ডাউন লিঙ্কের অনুমোদন নিয়ে না আসায় দর্শকদের কাছে বাংলাদেশের চ্যানেল পৌঁছে দিতে পারছে না বিপননকারী সংস্থারগুলো। কলকাতায় আন্তর্জাতিক ক্যাবল টিভি মেলায় অংশ নেওয়া শীর্ষ বিপণনকারীরা কালের কণ্ঠকে এ কথা জানান। গতকাল মঙ্গলবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্যাবল টিভি মেলা। বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের ক্যাবল অপারেটররাও এ মেলায় অংশ নিচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের যুবকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস মেলার উদ্বোধন করেন। সিটি ক্যাবেল, মন্থন, জিটিপিএল ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব ক্যাবল অপারেটর মেলায় নিজেদের স্টল সাজিয়েছেন। প্রায় এক দশক ধরে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশি চ্যানেল প্রদর্শনের জন্য এক ধরনের চাপ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। কূটনৈতিক চ্যানেল ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও দুই বাংলার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখানোর কথা বলে আসছেন বার বার। প্রথম দিকে বলা হতো, কলকাতার মাল্টি সিসটেম অপারেটরদের আকাশচুম্বি ক্যারেজ চার্জ দাবির কারণেই দেখানো সম্ভব হয় না বাংলাদেশের চ্যানেল। কিন্তু কয়েক বছর আগে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে নোটিশে জানানো হয়, শুধু বাংলাদেশি চ্যানেল নয়, ভারতে বিদেশি সব চ্যানেলকেই প্রদর্শনের জন্য ডাউন লিঙ্ক ফি দিয়ে অনুমোদন নিতে হবে সরকারের কাছ থেকে। সেটা করতে পারলে মাল্টি সিসটেম অপারেটররাও (এমএসও) সেই চ্যানেল বিপণনের ব্যবস্থা করতে পারবে। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম চ্যানেল বিপণনকারী সংস্থা মন্থন’র পরিচালক শিবশঙ্কর চক্রবর্তী। অবশ্যই বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো এখানে প্রদর্শন করা যেতে পারে। চ্যানেল বিপণনের ক্ষেত্রে আমাদের একটাই বাধা, সেটা হচ্ছে সরকারের অনুমোদন। বাংলাদেশের চ্যানেল মালিকরা ইচ্ছা করলেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ফি জমা দিয়ে এ লাইনেন্স পেতে পারেন। ভারতের বহু বিদেশি চ্যানেল চলে, বাংলাদেশে যেহেতু অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গবাসীর পূর্বপুরুষের ভিটা এবং একই সংস্কৃতি, ভাষা এবং খাদ্যাভ্যাসের ফলে এখানে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসলে দর্শকদের যেমন বাংলাদেশি চ্যানেল দেখার সুযোগ হবে তেমনই চ্যানেলগুলোও ব্যবসা করতে পারবে। এদিকে, বাংলাদেশের চ্যানেল দেখানোর জন্য প্রতিনিয়ত গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ফোন আসে বলে জানিয়েছেন জিটিপিএল নামে ভারতের আরো একটি বৃহত্তম চ্যানেল বিপণনকারী সংস্থার পরিচালক শুসেন সাহা। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, “প্রতিদিন কয়েক শ ফোন আসে। সবারই দাবি, অন্য বিদেশি চ্যানেল দেখা গেলে কেন বাংলাদেশের খবর-নাটক-ছবি কোনো চ্যানেলে দেখানো যাচ্ছে না। এর জবাব আসলে আমরা দিতে পারি না।” তবে তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে শুধু চ্যানেল মালিকদের ইচ্ছেটাই যথেষ্ট। ভারত সরকার বাংলাদেশের চ্যানেল প্রদর্শনে কোনো নিষেধজ্ঞা জারি করে রাখেনি। এখনও শুধু উদ্যোগটা বাংলাদেশের চ্যানেল মালিকদের নিতে হবে। ভারতের জি-গ্রুপের বিপণনকারী সংস্থার সিটি ক্যাবলের পরিচালক সুরেশ শেঠিয়া মনে করেন যেহেতু বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল এখানে দেখানো হয় না তাই যারাই আগে এ উদ্যোগ নিয়ে আসবে তারা অবশ্যই ব্যবসা করতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 66 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ