জাপার কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর ছেলে খুন ৩ বছরেও শুরু হয়নি প্রকৌশলী সজিব হত্যার বিচারকাজ

প্রকাশিত: 9:03 AM, December 10, 2015

স্টাফ রিপোর্টার:গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে আরেকটি বছর। কিন্তু গত ৩ বছরেও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলার আহবায়ক আবদুল্লাহ সিদ্দিকীর ছেলে প্রকৌশলী মেহরান সিদ্দিকী সজিব হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গত বছর আদালতে চার্জশিট দাখিল করলেও রহস্যজনক কারণে বিচার কাজ শুরু না হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা সংশয় প্রকাশ করেছেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ায় জাপা নেতা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর কনিষ্ঠ পুত্র তরুণ স্থাপত্য প্রকৌশলী মেহরান সিদ্দিকী সজিব ছাত্রদল ক্যাডারদের হাতে খুন হন। যদিও একইদিন রাজধানীতে খুন হওয়া বিশ্বজিৎ দাসের বিচার শেষ হয়েছে। কিন্তু সজিব হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু না হওয়ায় হতাশা বিরাজ করছে তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে।
সজিবের বাবা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বোঝা হচ্ছে বাবার কাঁদে ছেলের লাশ। আমার ছেলে সজিবকে নির্মমভাকে কুপিয়ে হত্যা করা হলো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আটকে আছে বিচারিক কার্যক্রম। ছেলে হত্যার ৩ বছর পেরিয়ে গেল। বর্তমানে কত অপরাধিদের বিচার হচ্ছে। কিন্তু আমি জানিনা কেন আমার ছেলে হত্যার বিচারকাজ আটকে আছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এদিকে, প্রকৌশলী মেহরান সিদ্দিকী সজিব হত্যার ৩ বছরপূর্তি উপলক্ষে বুধবার সজিবের বাবা আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর বাসভবনে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল শেষে শিরনী বিতরণ করা হয়। এসময় আব্দুল্লাহ সিদ্দিকীর সহকর্মী, বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিকেল ৪টা বাসভবনে একটি স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপার কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সিলেট জেলা বারের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট গিয়াগ উদ্দিন আহমেদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর তরুণ স্থাপত্য প্রকৌশলী মেহরান সিদ্দিকী সজিব ছাত্রদল ক্যাডারদের হাতে খুন হন। ওইদিন রাত ৮টায় নগরীর খরাদীপাড়ার নিজ বাসভবনের ঢুকে ছাত্রদল ক্যাডাররা সজিবকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তবে সজিব কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেননা। সজীবের দোষ ছিল, তিনি বাসার সামনে ছাত্রদল ক্যাডারদের আড্ডা দিতে নিষেধ করেছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বাদি হয়ে ছাত্রদল ক্যাডার, আব্দুল খালিক মিল্টন, টিটন মল্লিক, ইকবাল, শফিক, ভিডিও সুমন, একরামসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ২০১৪ সালের জুন মাসে তদন্তকারি কর্মকর্তা ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন; কিন্তু এখনও শুনানি শুরুই হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সংবাদটি 58 বার পঠিত হয়েছে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ