সিলেট [english_date] | [bangla_date]
প্রকাশিত: 9:06 AM, October 31, 2015
প্রান্ত ডেস্ক; উপমহাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শচীন দেববর্মনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এস ডি বর্মন নামেও বিশেষ পরিচিত তিনি। ১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর এই মহান শিল্পী প্রয়াত হন। তার জন্ম কুমিল্লায় কুমার বাহাদুর নবদ্বীপচন্দ্রের প্রাসাদে ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর। তৎকালীন ত্রিপুরার অন্তর্গত কুমিল্লার রাজপরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। রাজপরিবারের সন্তান হলেও বিত্তবৈভব নয়, সুরই তাকে আকৃষ্ট করে রেখেছিল আজীবন। তিনি মৃত্যু অবধি সংগীতের সাগরে সাঁতার কেটেছেন ‘নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে’, ‘শোন গো দখিন হাওয়া’, ‘কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া’, ‘তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’, ‘তুমি এসেছিলে পরশু কাল কেন আসোনি’, ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’, ‘ঘাটে লাগাইয়া ডিঙ্গা পান খাইয়া যাও’, ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক’, ‘তুমি যে গিয়াছ বকুল-বিছানো পথে’, ‘নিশিতে যাইও ফুলবনে’, ‘রঙিলা রঙিলা রঙিলা রে রঙিলা’ তার অনেক গান আজও মুখে মুখে ফেরে।
কিংবদন্তিতুল্য এই শিল্পীর গানের আবেদন অর্ধশতাব্দী কালেরও বেশি সময় ধরে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছে।
চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন তিনি। রজনী ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে নাম লেখান শচীন। প্লেব্যাকের পাশাপাশি তিনি ১৩টি ছবিতে তিনি সংগীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে হিন্দি ছবি শিকারিতে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। তিনি নজরুলের কথা ও সুরে চারটি গান রেকর্ড করেন।
তিনি লোকজ সংগীত ও ভারতীয় মার্গ সংগীতের সংমিশ্রণে নিজস্ব ঘরানার সৃষ্টি করেন। ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত করে।
১৯৩৪ সালে এলাহাবাদ অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তার অবস্থান আরো সম্মানজনক অবস্থায় পৌঁছে যায়। এস ডি বর্মন ১৯৩৮ সালে হাইকোর্টের জজ কমলনাথ দাশগুপ্তের দৌহিত্রী, গানের ছাত্রী মীরা ধর গুপ্তকে বিবাহ করেন। মীরাও ছিলেন সংগীতশিল্পী ও নামকরা গীতিকার। ১৯৩৯ সালে তাদের সন্তান রাহুল দেববর্মনের জন্ম হয় (যিনি বর্তমানে আর ডি বর্মন নামে বিখ্যাত এবং প্রয়াত)। তার পুত্রবধূ আশা ভোঁসলে সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
সম্পাদক-প্রকাশক :
মো: মিজানুর রহমান।
সম্পাদকীয় কার্যালয়:
পৌর মিনি মার্কেট (২য় তলা). ডিএস রোড সুনামগঞ্জ।
মোবাইল : ০১৭১৬-৫৬৩১৬৮
ইমেইল : mizan.sunam@gmail.com
ওয়েব সাইট: www,sunamnews24.com